তারেক জিয়ার নির্দেশে বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল ও নৈরাজ্যেকর পরিবেশ তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এস এম কামাল হোসেন বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপনি বলছে— ডিসেম্বর মাস বিএনপির। ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়াও ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিসেম্বর মাস পাকিস্তানের, শেষমেষ এ ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। মির্জা ফখরুল আপনার তো কিছু করার নেই, আপনি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের নির্দেশ পালন করছেন। সকালে এক নির্দেশ, বিকেলে আরেক নির্দেশ, সেই নির্দেশে আপনি উল্টাপাল্টা কথা বলছেন।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে ১ অক্টোবর যখন টেলিভিশনে ঘোষণা এলো বিএনপি ক্ষমতায় আসছে সেদিন রাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা, মেয়েদের ধর্ষণ, বাড়িবাড়িতে আগুন দিয়েছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি করলে খালেদা জিয়া জেলখানায় থাকতেন। মির্জা ফখরুল নিজের বিবেকের কাছে জিজ্ঞাসা করেন। ‘৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনকসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। আমাদের নেত্রী যে দিনটির জন্য কষ্ট পান, সেদিনটিতে আপনার নেত্রী ভুয়া জন্মদিন পালন করেন। তাহলে প্রতিহিংসার রাজনীতি কে করে?
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ২০০৪ সালে তারেক জিয়া হাওয়া ভবনে বসে ‘৭৫ এর খুনি ও ‘৭১ খুনিদের নিয়ে বৈঠক করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেন। আজকের প্রধানমন্ত্রী, সেদিন বিরোধীদলীয় নেত্রীকে হত্যা করার জন্য, ১৩টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছিল, নারী নেত্রী আইভী রহমানসহ ২২ জন নেতাকর্মী জীবন দিল। পার্লামেন্টে বিরোধীদলীয় নেত্রীর মাইক বন্ধ করে দিলেন, কথা বলতে দিলেন না।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে ছাত্রসমাবেশে বিশেষ অতিথি বক্তব্য দেন— আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ। ছাত্রসমাবেশটি পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়।