1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : অনলাইন ডেস্ক : অনলাইন ডেস্ক
রবিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২২, ০১:১৯ অপরাহ্ন

ডেঙ্গুরোগীর যত্নে যা করবেন, যা করবেন না

অনলাইন ডেস্ক
  • মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২
  • ১১

X
দেশে হঠাৎ করেই বাড়ছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা। জানা গেছে, এখন প্রত্যেক জেলায় ডেঙ্গুরোগী মিলছে। এ সময় সরকারের পক্ষ থেকেও সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে।

ডেঙ্গু একটি ভাইরাল রোগ যা সংক্রামক নয়। তবে এর বিস্তারের প্রধান কারণ ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশার বংশবৃদ্ধি। ডেঙ্গুর কোনো কার্যকর প্রতিকার নেই, তবে ডেঙ্গুর একটি ভ্যাকসিন এখনো ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অধীনে আছে।

আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সহজেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যায়। একই সঙ্গে ডেঙ্গুর লক্ষণ শনাক্ত করে প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক চিকিৎসা নিলে ডেঙ্গুরোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।

তবে ডেঙ্গুরোগীর যত্নে যারা নিয়োজিত থাকেন অর্থাৎ পরিবার, বন্ধু কিংবা প্রিয়জনদের এ সময় বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। জেনে নিন ডেঙ্গুরোগীর যত্নে কী করবেন আর কী করবেন না-

১. ডেঙ্গুরোগীর লক্ষণগুলো গুরত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করুন।
২. ডেঙ্গুর লক্ষণ সন্দেহ হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও ডেঙ্গু নির্ণয়ের পরীক্ষা করুন।
৩. এ সময় রোগীকে প্রচুর তরল গ্রহণ করাতে হবে, কারণ ডেঙ্গু ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি করে।
৪. প্লাজমা কোষের ক্ষতি ডেঙ্গুর অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলের রস পান করাতে হবে রোগীকে।
৫. ডেঙ্গুরোগীকে আলাদা রাখতে হবে ও সর্বদা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। লক্ষণগুলো খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
৬. জ্বরের জন্য প্যারাসিটামলের মতো ওষুধ রোগীকে খাওয়াতে হবে, তাও আবার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
৭. মশা থেকে দূরে থাকতে দিনের বেলায়ও অ্যারোসল স্প্রে করুন।
৮. বমি, রক্তপাত বা দুর্বল নাড়ির হারের মতো লক্ষণগুলির জন্য রোগীদের ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।
৯. ডেঙ্গু হেমোরেজিক রোগীরা হাইপোটেনসিভ শক অনুভব করলে, আইসোটোনিক ক্রিস্টালয়েড দ্রবণ দিয়ে সময়মত শিরায় থেরাপি দিলে তা উপশম হবে।
১০. গুরুতর রক্তপাতের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শের পরে রক্ত সঞ্চালনের জন্য বেছে নিন।
১১. ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো সেরে যাওয়ার পরেও দু’দিন রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখুন।
১২. অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন না রোগীকে, কারণ ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে হয়, ব্যাকটেরিয়া নয়।
১৩. অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন ও স্টেরয়েডের মতো এনএসএআইডি (ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ) দেবেন না রোগীকে। কারণ এগুলো মারাত্মক রক্তপাত ঘটাতে পারে।
১৪. এ সময় জ্বরসহ ডেঙ্গুর বিভিন্ন লক্ষণ দেখলে অবহেলা না করে দ্রুত রোগীর চিকিৎসা করান। না হলে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে সঠিক চিতিৎসার অভাবে।
১৫. ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়ে সবাই সতর্ক ও মশা থেকে সাবধান থাকুন।

সূত্র: মেডিইন্ডিয়া

আরও পড়ুন
© ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত