1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : অনলাইন ডেস্ক : অনলাইন ডেস্ক
রবিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন

স্কোয়াশ চাষে ক্ষতির মুখে কৃষক, পাশে নেই কৃষি বিভাগ

অনলাইন ডেস্ক
  • শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর বালুময় চরে মরুভূমির ফসল স্কোয়াশ চাষ করে বিপাকে পড়েছেন কৃষক সাইদুল ইসলাম। তিনি সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের আরাজী পলাশ বাড়ি গ্রামের মৃত ইয়াজ উদদীনের ছেলে। শীতকালীন সবজি স্কোয়াশের গাছে পর্যাপ্ত ফুল-ফল দেখা গেলেও ঘন বৃষ্টির কারণে মোজাইক রোগের প্রভাব পড়ে।

ছত্রাক জাতীয় এ রোগে নষ্ট হয়ে যায় স্কোয়াশ ক্ষেত। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে সার ও কীটনাশক কোম্পানির প্রতিনিধিরা পরামর্শ দিলেও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খোঁজ নেই। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাঁড়ায়নি তারা। ফলে হতাশা আর ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাইদুল ইসলাম।

সরেজমিনে জানা যায়, ধরলা নদীর তীরে জেগে ওঠা বালুচরে সবুজের সমারোহ। যতদূর চোখ যায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নানা প্রজাতের সবজির চাষ। করলা, কুমড়া, টমেটোর পাশাপাশি ৪ বিঘা জমিতে স্কোয়াশের আবাদ করেন সাইদুল ইসলাম। এটি বিদেশে চাষাবাদ হলেও বাংলাদেশে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। অনেকে স্কোয়াশ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। কয়েকটি জেলায় স্কোয়াশ চাষের সফলতা দেখে তিনি উদ্যোগ নেন। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্কোয়াশ চাষে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

স্কোয়াশ চাষি সাইদুল ইসলাম জানান, চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষিতে ঝুঁকে পড়েন তিনি। প্রচলিত সবজি ও ফসলের পাশাপাশি স্কোয়াশ চাষ শুরু করেন। অন্য সবজির পাশাপাশি ৪ বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষ শুরু করেন। সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও ভালো ছিল। তবে ঘন বৃষ্টির কারণে গাছ ও পাতা হলুদ হয়ে যায়। স্কোয়াশের মাথায় পচন ধরা শুরু হয়। কয়েকদিনে জমির স্কোয়াশ নষ্ট হয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে স্কোয়াশ চাষ করেছি। গাছে ফলন ভালো হচ্ছে দেখে ভেবেছিলাম লাভবান হবো। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ক্ষেতটি নষ্ট হয়ে আমার অনেক ক্ষতি হলো। এ ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবো জানি না। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পাইনি। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কোনো পরামর্শ পাইনি।’

একই গ্রামের কৃষক মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘এখানে প্রথম স্কোয়াশ চাষ শুরু করেন সাইদুল। সামনের বছর আমিও স্কোয়াশ চাষ শুরু করতাম। হঠাৎ জানলাম সাইদুলের স্কোয়াশ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফসল তোলার সময় কী কারণে গাছে পচন ধরতে শুরু করেছে বুঝতে পারলাম না। কৃষি বিভাগ যদি সাইদুলের পাশে থাকতো, তাহলে ক্ষতির মুখে পড়তো না।’

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘স্কোয়াশ একটি বিদেশি সবজির জাত।আমাদের দেশে এখন স্কোয়াশ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। স্কোয়াশ চাষে নিবিড় পরিচর্যা করলে ভালো ফলন হয়। তবে সাইদুল ইসলামের ক্ষতির বিষয়টা আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।’

আরও পড়ুন
© ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত