‘আমার যত্নে, আমার গাছ’ স্লোগানে ‘আমরা মালি’ শীর্ষক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রামের জনপ্রিয় সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দুর্বার তারুণ্য’।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মহানগরীর সিআরবি এলাকায় শতাধিক বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে কর্মসূচির চলমান পর্ব সম্পন্ন করা হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন করোনা প্রতিরোধক বুথের উদ্ভাবক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গাছকে বলা হয় অক্সিজেনের কারখানা। মানুষ, গাছ, প্রাণিকুল সবমিলে একটি বায়বীয় সম্পর্ক বিদ্যমান, যার মাধ্যমে একে-অপরের উপকারার্থে নিবেদিত। কাজেই পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণে অংশ নেওয়া।
তিনি আরও বলেন, বৃক্ষরোপণ ও সঠিক পরিচর্যা কেবল পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং ফলমূল ও বনজদ্রব্যে দেশকে স্বনির্ভর করে তুলতে সাহায্য করবে না বরং ব্যক্তি পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য বিধানে অনুকূল ভূমিকা পালন করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য আমাদের প্রত্যেকের প্রতিবছর অন্তত দুটি করে বৃক্ষরোপণ ও এর সঠিকভাবে পরিচর্যা করা দরকার।
দুর্বার তারুণ্যের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, বৃক্ষ আমাদের পরমবন্ধু। বৃক্ষ শুধু প্রাকৃতিক শোভাই বর্ধন করে না, মাটির ক্ষয়রোধ করে, বন্যা প্রতিরোধ করে, ঝড়-তুফানকে বাধা দিয়ে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণেও বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম।
তিনি বলেন, বৃক্ষ ছাড়া পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো। বৃক্ষ অক্সিজেন সরবরাহ করে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। তাই বৃক্ষকে বলা হয় প্রাণের অগ্রদূত। বর্তমানে বাংলাদেশে বৃক্ষরোপণের সংখ্যা বাড়লেও তা পরিচর্যার দিকে তেমন একটা মনোযোগ নেই বললেই চলে। ‘আমরা মালি’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে চাই। বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানে, কিন্তু এই বহুল প্রয়োজনীয় জিনিসটিকে ঠিকঠাক গড়ে তোলার জন্য দরকার পরিচর্যা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- রবিউল হাসান, হৃদয় হোসেন মল্লিক, মো. কামরুল ইসলাম, এইচ এম আলাউদ্দিন, মো. এমদাদুল হক মারুফ, এইচ এ মোবারক, হাকিমুল ইসলাম সাকিব, সাফায়েত মোর্শেদ, মোবারক উল্লাহসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃত্ববৃন্দ।