লিওনেল মেসি বার্সেলোনায় থাকতে ব্যালন ডি’অরটা যেন এই ক্লাবের জন্য একটা অপরিহার্য পুরস্কার হিসেবেই দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। একটি ক্লাবের ফুটবলার যখন সাতটি ব্যালন ডি’অর জয় করেন, তখন এমন কথা বলাই যায়।
মেসি চলে যাওয়ার পর বার্সেলোনার কোনো ফুটবলার এ সময়ের মধ্যে ব্যালন ডি’অর শিরোপা জিতবে, তা তো রীতিমত অবিশ্বাস্য ব্যাপার। কিন্তু তেমনটাই ঘটেছে এবার।
পুরুষ ফুটবলে নয়, নারী ফুটবলার হিসেবে এবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন বার্সার নারী ফুটবলার অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস। টানা দ্বিতীয় বছর তিনি সেরা নারী ফুটবলার হিসেবে এই শিরোপা জিতে নিলেন। অর্থ্যাৎ, মেসির অভাবটা যেন তিনিই পুষিয়ে দিচ্ছেন বার্সেলোনাকে। আর্সেনালের নারী ফুটবলার বেথ মিড এবং চেলসির অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার স্যাম কেরকে হারিয়ে এই পুরস্কার জেতেন পুতেয়াস।
করিম বেনজেমার মত বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারও রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়ার হাতে ওঠার সম্ভাবনাই ছিল বেশি। সেটা সত্যি হলো। ব্রাজিলের দুই গোলরক্ষক অ্যালিসন এবং এডারসনকে হারিয়ে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার ইয়াসিন (লেভ ইয়াসিন) ট্রফি জয় করেন কুর্তোয়া।
সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার জয় করেন বার্সার তরুণ ফুটবলার গাবি। রিয়ালের এডওয়ার্ডো কামাভিঙ্গা এবং বায়ার্নের জামাল মুসিয়ালাকে হারান তিনি। এছাড়া দুটি বিশেষ পুরস্কার জয় করেন সাদিও মানে এবং রবার্ট লেওয়ানডস্কি। স্ট্রাইকার অব দ্য ইয়ার, যার বর্তমান নাম জার্ড মুলার ট্রফি জয় করেন লেওয়ানডস্কি এবং খেলার বাইরেও সুন্দর আচরণের জন্য সক্রেটিস ট্রফি ওঠে সাদিও মানের হাতে। এছাড়া বর্ষসেরা ক্লাবের পুরস্কার জয় করে ম্যানচেস্টার সিটি।